মিশারার অভিষেক ফিফটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজও শ্রীলঙ্কার

ডেক্স রিপোর্ট : দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির দুর্দান্ত জয়ে গতকাল সিরিজ বাঁচিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে এক দিনের ব্যবধানে সিরিজ হারের তিক্ত স্বাদই পেল সিকান্দার রাজা-রায়ান বার্লরা। ৮ উইকেটের জয়ে ওয়ানডের পর সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সিরিজও জিতল শ্রীলঙ্কা।
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য শ্রীলঙ্কাকে কঠিন এক লক্ষ্যই দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।
ঘরের মাঠ হারারেতে ১৯২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল রাজার নেতৃত্বাধীন দল। তবে কামিল মিশারার অভিষেক ফিফটিতে বলা যায় সহজ জয়ই পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। কেননা বড় লক্ষ্যের ম্যাচেও ১৪ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কার দল।
জয়ের শুরুটাও দুর্দান্ত করে শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাতুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস।
উদ্বোধনী জুটিতে ৫৮ রান যোগ করেন তারা। ১৭ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে যখন প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন মেন্ডিস তখন ৫.২ ওভার চলে। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে দ্রুত ফেরেন আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কাকে আর উইকেট হারাতে দেননি মিশারা ও কুশল পেরেরা।তৃতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১১৭ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন তারা। মিশারা তার ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ চার ও ৩ ছক্কায়। তার ১৬৯.৭৬ স্ট্রাইক রেটের বিপরীতে ৪৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন পেরেরা। বাঁহাতি ব্যাটার ১৭৬.৯২ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৪ চার ও ২ ছক্কায়।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও ওপেনার তাদিওয়ানশে মারুমানির ফিফটিতে ১৯১ রানের সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।
দলীয় ২৬ রানে ওপেনিং সঙ্গী ব্রায়ান বেনেটকে (১৩) হারান মারুমানি। তবে নিজে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে দুই সতীর্থ শন উইলিয়ামস (২৩) ও রাজার (২৮) সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন তিনি। বিশেষ করে তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক রাজার সঙ্গে ৫৬ রানের জুটি গড়ে।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটির ইনিংসটি সাজান ৬ চার ও ১ ছক্কায়। তবে ম্যাচ হারায় তার ৫১ রানের ইনিংসটি জিম্বাবুয়ের কোনো কাজে আসেনি। তার মতো কাজে আসেনি শেষ দিকে ১৭৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ২৬ রান করা বার্লের ইনিংসটিও। শ্রীলঙ্কা হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার দুশান হেমন্ত।


