লিভারপুলের ‘লাস্ট মিনিট শো’, এবার নায়ক সালাহ

বার্নলি ০ : ১ লিভারপুল
ম্যাচের ঘড়িতে তখন ৯৫ মিনিট। যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্ত প্রায়। ওই সময়ে পেনাল্টি পেল লিভারপুল। মোহাম্মদ সালাহর গোল। প্রিমিয়ার লিগে আরও একবার লিভারপুলের নাটকীয় জয়। এবার প্রতিপক্ষ বার্নলি, টার্ফ মুরে লিভারপুলের জয়ের ব্যবধান ১-০। টানা চতুর্থ ম্যাচ জিতে এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে একমাত্র দল হিসেবে শতভাগ জয়ের রেকর্ডটা ধরে রেখেছে লিভারপুল।
লিগে লিভারপুলের আগের তিনটি জয়ও এসেছিল ম্যাচের ৮৩ মিনিটের পর গোল করে। এদিনও সেই ধারা ভাঙল না। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিখ্যাত সেই ‘ফার্গি টাইম’ কি এখন লিভারপুলের হয়ে গেল!
স্বাগতিক বার্নলি প্রায় নিশ্চিত পয়েন্ট হাতছাড়া করার আফসোস করতেই পারে। আজ ম্যাচের শেষ দিকে মনে হচ্ছিল লিভারপুল বুঝি মৌসুমে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট হারাবে। কিন্তু ভাগ্য ছিল আর্নে স্লটের দলের পাশে।

প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সালাহ এখন চতুর্থ স্থানেরয়টার্স
দলে ছিল না ব্রিটিশ রেকর্ড সাইনিং আলেকজান্ডার ইসাক। ১২ কোটি ৫০ লাখ ইউরোতে নিউক্যাসল থেকে দলবদলের শেষ দিনে লিভারপুলে যোগ দেওয়া এই ফরোয়ার্ডকে একাদশে রাখেননি কোচ আর্নে স্লট। কারণ, নিউক্যাসলের সঙ্গে বিরোধের জেরে তাঁর কোনো প্রাক-মৌসুম ম্যাচ খেলা হয়নি, জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন মাত্র ১৮ মিনিট। তবে স্লট জানিয়েছেন, বুধবার আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে দেখা যাবে তাঁকে।
পুরো ম্যাচে বার্নলি লড়াই করে দারুণ। শেষ দিকে লেসলি উগোচুকু দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও তারা হাল ছাড়েনি। কিন্তু ভাগ্য যে ফাঁদ পেতে বসে ছিল। শেষ সময়ে জেরেমি ফ্রিমপংয়ের ক্রস গিয়ে লাগে হ্যানিবাল মাজব্রির হাতে। পেনাল্টি।
সালাহ নিজের নেওয়া সর্বশেষ দুটি পেনাল্টি মিস করেছিলেন। কিন্তু এবার ঠান্ডা মাথায় গোল করলেন। অ্যান্ড্রু কোলকে টপকে প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় উঠে গেলেন চতুর্থ স্থানে (১৮৮ গোল)।

লিভারপুলের উদযাপনরয়টার্স
পুরো ম্যাচে লিভারপুলের ২৭ শটের মধ্যে গোলমুখে ছিল মাত্র চারটি। ম্যাচের শুরু থেকেই বার্নলি খেলেছে ৫-৪-১ ফরমেশনে। বার্তা পরিষ্কার ছিল—এখান থেকে জিততে হলে ঘাম ঝরাতে হবে। সত্যিই প্রথমার্ধে স্লটের লিভারপুলকে চেনা রূপে দেখা যায়নি। অ্যান্ডি রবার্টসনের একটি শটই শুধু লক্ষ্যে ছিল। তবে সেই চেষ্টা বিফলে গেছে। এর আগে মিলোস কেরকেজ পেনাল্টি পাওয়ার জন্য ডাইভ দিয়ে উল্টো হলুদ কার্ড দেখলেন। এরপর আরেকটি ফাউল করলে স্লট তাঁকে তুলে নিলেন মাঠ থেকে, যাতে বিপদ না বাড়ে।
দ্বিতীয়ার্ধেও বার্নলির জমাট রক্ষণ লিভারপুলকে খুব বেশি সুযোগ দিল না। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফ্রিমপংয়ের ওই ক্রসই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিল। এত চেষ্টা করেও লিভারপুলকে আটকাতে পারল না বার্নলি।



