
ডেক্স রিপোর্ট : আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন আগামী ২৭ নভেম্বর। এই তারিখ নিয়েই ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে মতবিরোধ। ইসলামী ছাত্রশিবির ও ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ পূর্বনির্ধারিত সময়েই ভোট গ্রহণের দাবি তুলেছে। অপরদিকে ছাত্রদল অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সীমা বিবেচনায় নিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে জবি ছাত্রশিবির নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দেয়। আর ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে আপ বাংলাদেশ। বিকেলে জবি শাখা ছাত্রদল প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।
শিবিরের স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, কিছু গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করতে জকসু নির্বাচন বানচালের নীলনকশা করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরই নির্বাচন হতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নভেম্বরেই নির্বাচন হবে। এখন একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে, যা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা। ডিসেম্বরে ভর্তি ও সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হবে। তাই নভেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন করা সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
ছাত্রদলের স্মারকলিপিতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়সীমা অনুসারে নতুন তারিখ নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে। তারা ১২ দফা দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে– ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রকাশ, অমোচনীয় কালি ব্যবহার, স্বচ্ছ গ্লাসের ব্যালট বক্স, ব্যালট নম্বর ও পরিসংখ্যান প্রকাশ, পোলিং এজেন্টদের সীমিত চলাচল, মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার পুনর্বহাল, নির্বাচনী আচরণবিধি স্পষ্টকরণ এবং সব সংগঠনের জন্য পরিচয়পত্র প্রদানের বাধ্যবাধকতা।
ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা চাই প্রশাসন ন্যায্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করুক।’
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড মোস্তফা হাসান বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলো স্মারকলিপি দিয়েছে। তাদের দাবির বিষয়গুলো জানিয়েছে। কোনো দলের পক্ষ নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করবে না।




