বাংলাদেশ

ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ বিদেশি পরিচয়ে বন্ধুত্ব গড়ে প্রতারণা, ‘এক কোটির বেশি’ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা বা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা; এরপর স্বর্ণ, হীরা কিংবা ডলার পাঠানোর নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। এ ধরনের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত চক্রের একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শনিবার রাজধানীর শান্তিনগর থেকে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. ফারুক হোসেন (৪৭)। তিনি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার উত্তর বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা।

সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, বিদেশে অবস্থান করা ইউএস আর্মি বা নেভির পরিচয়ে এই প্রতারকেরা হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক বা ই-মেইলে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। ধীরে ধীরে গড়ে উঠত বন্ধুত্বের সম্পর্ক। একপর্যায়ে স্বর্ণ, হীরা, মূল্যবান পাথর কিংবা বিপুল অঙ্কের ডলার পাঠানোর কথা বলে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা নিত চক্রটি। টাকা পাওয়ার পর সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হতো।

এভাবে অন্তত ১৬ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ফারুক হোসেনের মালিকানাধীন ‘মেসার্স ফারুক ট্রেডার্স’-এর দুটি ব্যাংক হিসাবে বিপুল লেনদেন হয়েছে। একটি হিসাবে ১ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকার বেশি এবং আরেকটিতে ২১ লাখ ৯১ হাজার টাকার বেশি লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে। মামলায় ফারুক হোসেন ছাড়াও মোমেনা আক্তার রানী (৩৭), নাইজেরিয়ান নাগরিক মারলন স্যামুয়েলস, মো. কামরুল মোকসেদ ওরফে সাজু (৩৫), ইমরান হাসান ইকবাল (৩৩), মেসার্স ফারুক ট্রেডার্স ও মেসার্স জননী ট্রেডার্সকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০–১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সিআইডির কর্মকর্তাদের ভাষ্য, মামলার অন্যান্য আসামিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।

সম্পর্কিত প্রবন্ধ

Back to top button