
ডেক্স রিপোর্ট : জনপ্রিয় অভিনেতা সতীশ শাহ কিডনি বিকলে আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) মারা গেছেন। হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত হিন্দুজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছলেও শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি ৭৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন।
অভিনেতার প্রয়াণে বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বন্ধু অশোক পণ্ডিত লিখেছেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় বন্ধু এবং প্রতিভাবান অভিনেতা সতীশ শাহ কিডনি বিকলের কারণে কয়েক ঘণ্টা আগে প্রয়াত হয়েছেন। তাকে তড়িঘড়ি হিন্দুজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এটি আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য এক বিরাট ক্ষতি। ওম শান্তি।”
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী সতীশ প্রথমে ‘অরবিন্দ দেশাই কি আজিব দাস্তান’ (১৯৭৮) এবং ‘গমন’ (১৯৭৯)-এর মতো ছবিতে ছোটখাটো ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে পরিচালক কুন্দন শাহের কাল্ট ক্লাসিক ‘জানে ভি দো ইয়ারো’-তে দুর্নীতিগ্রস্ত পৌর কমিশনার ডি’মেলোর ভূমিকায় অভিনয় করার পর তিনি পরিচিতি পান।
ছবিটি ছিল একটি ব্যঙ্গাত্মক কমেডি। এতে শাহ নাসিরুদ্দিন শাহ, ওম পুরি এবং পঙ্কজ কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া তিনি ‘ইয়ে জো হ্যায় জিন্দেগি’ এবং ‘ফিল্মি চক্কর’ টেলিভিশন ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন।
২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে তিনি রত্না পাঠক শাহ, রূপালী গাঙ্গুলি, সুমিত রাঘবন এবং রাজেশ কুমারের সঙ্গে জনপ্রিয় সিটকম ‘সারাভাই বনাম সারাভাই’-তে ইন্দ্রবদন সারাভাই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
সতীশ শাহকে দর্শক তারকা হিট ছবি ও টেলিভিশন ধারাবাহিকের মাধ্যমে চেনেছেন। তিনি শাহরুখ খানের ‘কাভি হ্যায় কাভি না’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘ম্যায় হু না’, ‘কাল হো না হো’, ‘ওম শান্তি ওম’, এবং আমির খানের ‘ফানাহ’, ‘আকেলে হাম আকেলে তুম’ ছবিতেও দেখা গেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ডিজাইনার মধু শাহকে বিয়ে করেছিলেন।




